জন্ম একদেশে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলেছেন অন্য দেশের হয়ে। ক্রিকেট দুনিয়ায় এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। যেমন কেভিন পিটারসেন (জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়, খেলেছেন ইংল্যান্ড দলে), জোফ্রা আর্চার (জন্ম ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোজে, খেলেন ইংল্যান্ড দলে) প্রমুখ। ক্রিকেট দুনিয়ায় ফের এরকম একটি নজির তৈরি হতে চলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম গ্রহণ করা ডেভন কনওয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২৬ বছর বয়সে জোহানেসবার্গের বাড়ি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। উদ্দেশ্য একটাই – কিউইদের হয়ে ক্রিকেট খেলা। তার সেই লক্ষ্য অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২৮ আগস্ট থেকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন ডেভন কনওয়ে।
নির্ধারিত সময়সীমার আগেই নিউজিল্যান্ডের হয়ে তাকে খেলার অনুমতি দিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আইসিসি। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলা কিউইদের বাংলাদেশ সফরে ডেভনের খেলার কথা রয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নেওয়া করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য সিরিজের মতো এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ভাগ্যও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
‘আমি বেশ খুশি তবে কঠিন পরিশ্রম করে যেতে হবে’: ডেভন কনওয়ে
ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে কনওয়ে বলেন, এই মুহূর্তে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। খেলার ব্যাপারে যোগ্যতাশর্ত অর্জন করায় অবশ্যই আমি খুব খুশি। তবে সমগ্র বিশ্বে এখন যা ঘটছে (করোনাভাইরাস মহামারি) তার জন্য একটু চিন্তিত। প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের হয়ে ২০১৭-১৮ মরসুমে ডেবিউ করেন কনওয়ে। তারপর থেকে সমস্ত ফরম্যাটেই এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলে তার স্থান পাওয়া এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
মূলত কনওয়ের চওড়া ব্যাটে ভর করে জানুয়ারিতে ঘরোয়া টি-২০ খেতাব জিততে সক্ষম হয় ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস। ৬৭.৮৭ গড় সহ তিনি মোট ৫৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া ২০১৯-২০ মরসুমের প্লাঙ্কেট শিল্ড টুর্নামেন্টে ৭০১ রানের দৌলতে সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাদেশিক স্তর পর্যন্ত অনেক ক্রিকেট খেলার পরেও নির্বাচকদের নজরে পড়তে ব্যর্থ হন কনওয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ম্যাচ জয়ী একাধিক ইনিংস খেলার পর এবার গ্র্যান্ট ইলিয়ট এবং নীল ওয়াগনেরদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য কিউইদের জার্সি পরতে প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মানো এই ক্রিকেটার। এটা অবশ্যই তার কাছে একটা বিশেষ খুশির মুহূর্ত। আর হবে নাই বা কেন। যে লক্ষ্যের কথা ভেবে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন, সেই লক্ষ্যে তিনি অবশেষে পৌঁছতে পেরেছেন। এখনও নিজেকে আরও প্রমাণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধাপ বেয়ে ওঠা মোটেও সহজ কাজ হবে না। তবে প্রথম ধাপটা পেরোতে সক্ষম হওয়ায় তার মুখে দেখা গেল চওড়া হাঁসি। কনওয়ে বলেন, আমি খুব খুশি। তবে আমাকে কঠিন পরিশ্রম করে যেতে হবে। আশা করছি ব্ল্যাক ক্যাপস দলে একটা সুযোগ পাব। এটা একটা বিশ্বমানের দল। কাজটা মোটেও সহজ হবে না। তিনি আরও বলেন, শারীরিক কসরৎ যত করা যায় আমি সেই চেষ্টাই করছি। তার পাশাপাশি আমি চোখের কিছু অনুশীলন করছি যা আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সক্রিয় থাকার জন্য আমি বক্সিং করছি। সম্প্রতি এটা আমি উপভোগ করতে শিখেছি। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি আর কিছু করার নেই।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য