পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক জাভেদ মিয়াদাদ নিজের মনের কথা খুলে বলার জন্য পরিচিত। নিজের মতামত অনুরাগীদের সামনে তুলে ধরতে তিনি কখনও অস্বস্তি বোধ করেন না। সমালোচকরা অনেক সময় বলেন, মিয়াদাদ একটু অহংকারী। যদিও বাস্তবে সেটা সত্যি নাও হতে পারে। বরং তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলায় বিশ্বাস করেন। সত্যিটা যতই খারাপ হোক, সেটা তিনি সবার সামনে বলেন। এবার এরকমই একটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলেন মিয়াদাদ। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটে যারা দুর্নীতিতে জড়িত বলে প্রমাণিত হবেন, তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।
পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেন মিয়াদাদ। সমস্ত ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি ১৬,২১৩ রান স্কোর করেছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ৩১টি শতরান এবং ৯৩টি অর্ধশত রান। শচীন তেন্ডুলকরের পর তিনিই হলেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে মোট ৬টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
স্পট-ফিক্সারদের ব্যাপারে কড়া মতামত জানালেন জাভেদ মিয়াদাদ
জাভেদ মিয়াদাদ তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, যেসকল খেলোয়াড় স্পট-ফিক্সিংয়ে দোষী প্রমাণিত হবেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিৎ। কারণ ক্রিকেটে এটা (স্পট-ফিক্সিং) কাউকে হত্যা করার সমতুল। তাই এই ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি সব সময় কড়া হওয়া প্রয়োজন। অন্যান্য খেলোয়াড়দের সামনে আমাদের একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার। সুতরাং ভবিষ্যতে অন্যরা এই অপরাধ করা থেকে বিরত থাকবেন।
জাভেদ মিয়াদাদ তার ইউটিউব চ্যানেলে আরও বলেন, যেসমস্ত খেলোয়াড় স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকেন, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। স্পট-ফিক্সারদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিৎ কারণ এটা (স্পট-ফিক্সিং) কাউকে হত্যা করার সমতুল। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে অন্য কোনো খেলোয়াড় এরকম অপরাধ করার কথা ভাবতে না পারেন। এই জিনিসগুলি আমাদের ধর্মের (ইসলাম) শিক্ষার বিরুদ্ধে এবং সেই অনুযায়ী বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া অনুরূপ খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ দেওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মিয়াদাদ। এটা সবাই জানেন যে মহম্মদ আমির এবং অন্যান্য খেলোয়াড়, যারা ম্যাচ গড়াপেটায় অতীতে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন, তারা আজ ফের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। শাস্তির মেয়াদ কাটানোর পর পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন আমির। এখন তিনি দীর্ঘতর ফরম্যাট অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে আমির এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেন। মিয়াদাদ বলেছেন, এই ধরণের ক্রিকেটাররা তাদের পরিবারের কাছেও উপযোগী নন। যেসকল মানুষ এই কাজ করেন তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। মিয়াদাদ যোগ করেন, এদের ক্ষমা প্রদর্শন করে পিসিবি সঠিক কাজ করছে না। যারা এই ধরণের খেলোয়াড়দের ফের খেলায় ফিরিয়ে আনেন, তাদের লজ্জা থাকা উচিৎ। আমার মনে হয় এই ধরণের খেলোয়াড় যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে, তারা তাদের পরিবার এবং বাবা-মায়ের কাছেও আন্তরিক হতে পারেন না। আধ্যাত্মিক দিক থেকে তারা পরিচ্ছন্ন নন। মানবিকতার খাতিরে এগুলি মোটেও ভালো কাজ নয়। এই ধরণের মানুষের বাঁচার কোনো অধিকার নেই।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য