করোনাভাইরাসের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়েছে। মারণ ভাইরাসের বিস্তার রুখতে ভারতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর ফলে মুম্বইয়ে স্থানীয় ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ার এবং স্কোরাররা একটা কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই রোজগারের জন্য সম্পূর্ণভাবে এই স্থানীয় ম্যাচগুলির উপর ভরসা করেন।
এই আম্পায়ার এবং স্কোরাররা এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। বিসিসিআইয়ের একজন প্রাক্তন আম্পায়ার এবং মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) পরিচালনা কমিটির একজন প্রাক্তন সদস্য গণেশ আইয়ারের নেতৃত্বে একদল আম্পায়ার এই স্থানীয় আম্পায়ার এবং স্কোরারদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আইয়ার এবং তার সঙ্গীরা এই উদ্দেশ্যে একটি ত্রাণ তহবিল খুলেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত আইয়ারের বক্তব্য, আমরা সব আম্পায়ার মিলে ‘লেন্ডিং এ হ্যান্ড’ নামে একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে সেই সমস্ত আম্পায়ার এবং স্কোরারদের সাহায্য করা হবে, ক্রিকেটের উপরে যাদের জীবিকা নির্ভর করে। আমরা সদস্যদের স্বেচ্ছায় অনুদান করতে অনুরোধ জানিয়েছি। স্থানীয় ম্যাচের উপর যেসকল আম্পায়ার এবং স্কোরারদের রোজগার নির্ভর করে ইতিমধ্যে আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি।
শুক্রবারের মধ্যে ৪৭ জন আম্পায়ার এবং ১২ জন স্কোরারের প্রত্যেকে ৩,০০০ টাকা করে পাবেন
আইয়ার জানিয়েছেন, মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিশনের শীর্ষস্থানীয় সদস্যরা ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করেছেন। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ২.৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইয়ারের কথায়, এখনও পর্যন্ত আমরা ২.৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছি। তহবিল জোগাড় করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বর্তমান সদস্যদের কয়েকজনও আন্তরিকভাবে এই তহবিলে অর্থ দান করেছেন।
ফ্রেটারনিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক আম্পায়ার এবং স্কোরারকে ৩,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আইয়ার আরও যোগ করেন, শুক্রবারের মধ্যে ৪৭ জন আম্পায়ার এবং ১৫ জন স্কোরার – মোট ৬২ জনের প্রত্যেককে ৩,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পেমেন্টের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থরাশি সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। পরবর্তী কিস্তি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আইয়ার আরও জানিয়েছেন, কিছু আম্পায়ার এবং স্কোরার টাকা নিতে রাজি হননি। কারণ তারা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত। বরং প্রকৃতপক্ষে যাদের প্রয়োজন, যারা দরিদ্র, তাদেরকেই এই অর্থরাশি প্রদান করা হোক।
মহারাষ্ট্রের অনেক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্য থেকে তিন শতাধিক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্য কোনো রাজ্য এত আক্রান্ত নেই।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য