ইংল্যান্ডের একজন অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হলেন কেভিন পিটারসেন। তবে তার কেরিয়ারে সব সময় বিতর্ক ছিল। এর মধ্যে দিয়েই তার কেরিয়ার শেষ হয়েছে। তার সতীর্থ এবং ইসিবির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পিছনে একটা বড় কারণ ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তার অংশগ্রহণ। পিটারসেনকে এই ক্যাশ রিচ লিগে খেলতে দেখে অনেকেরই পছন্দ হয়নি।

বুধবার মাইকেল ভন একটি তথ্য ফাঁস করেছেন। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছেন, কেভিন পিটারসেন আইপিএলে মোটা টাকার চুক্তি পাওয়ায় বিষয়টি গ্রেম সোয়ান, জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, টিম ব্রেসনান এবং ম্যাট প্রায়রের মতো ক্রিকেটারদের মোটেও পছন্দ হয়নি। তারা কেপির এই সুযোগে হিংসে করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন মাইকেল ভন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, সেই সময় কেভিন পিটারসেনের সতীর্থরা মনে করেছিলেন, কেবলমাত্র টাকার জন্য আইপিএলে খেলছেন পিটারসেন। যদিও কেপির বক্তব্য ছিল, তিনি কেবলমাত্র সীমিত ওভারের খেলার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আইপিএলে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কথোপকথনের সময় পিটারসেনের হয়েই কথা বলেছেন ভন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেভিন পিটারসেন। আইপিএলে অংশগ্রহণের পরই পিটারসেনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তড়িঘড়ি দাঁড়ি পড়ে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখন আর কোনো আলোচনায় পিটারসেনের আগ্রহ নেই।

সেসব এখন অতীত, বললেন কেভিন পিটারসেন

সমগ্র বিশ্বের চলতি বিভিন্ন টি-২০ লিগে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট ধারাভাষ্যে যোগ দিয়েছেন কেপি। আইপিএল চুক্তির কারণে ইংল্যান্ডের অন্যান্য খেলোয়াড়রা যে পিটারসেনকে হিংসে করতেন, সেই খবর চোখে পড়ার পর প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পিটারসেন। তিনি বলেন, তার কেরিয়ারে অনেক ভালো স্মৃতি আছে যেগুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এবং ইসিবি উভয়ের কাছে এখন বিষয়টি অতীত। কেভিন পিটারসেন আরও মনে করেন, বিশ্বে বর্তমান মহামারির জেরে এখন কেবলমাত্র ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। পিটারসেন ট্যুইটে বলেন, বিশাল ব্যাপার! এখনও খবরের শিরোনামে রয়েছি! তবে আমার একটা বিনীত অনুরোধ, এই ব্যাপারে আর যেন আলোচনা না হয়! আমাদের সবার কাছে এখন সেটা অতীতের বিষয় এবং আমারে কেরিয়ারে আলোচনা করার মতো অনেক দারুণ বিষয় রয়েছে! এখন আমরা একটটা ভগ্ন পৃথিবীতে বাস করছি, যেখানে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ভীষণভাবে প্রয়োজন।