মানব জাতির কাছে এটা কঠিন সময়। মহামারির আকার নিয়েছে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস। তাণ্ডব চালাচ্ছে গোটা বিশ্বে। ৪৬০,০০০-এর বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে হু হু করে বাড়ছে। গত বছর চিনে উহানে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তার পর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯। এখন ভারত সহ প্রায় গোটা বিশ্বে চলছে লকডাউন। উদ্দেশ্য একটাই, মানব সভ্যতার সঙ্কট করোনাভাইরাস প্রতিরোধ।
ভাইরাসটি যেহেতু নতুন, তাই এটির কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে দিন, রান এক করে পরিশ্রম করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। আশা করা যায়, শীঘ্রই এই ভাইরাস প্রতিরোধের হাতিয়ার পৌঁছে যাবে মানুষের হাতে। এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র কার্যকরী রাস্তা হল সেল্ফ-আইসোলেশন। অর্থাৎ অন্যান্যদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। এই উদ্দেশ্যে ভারতে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য বা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার জন্য অবশ্যই দায়ী মানুষ, যাদের খাদ্যাভাসের এতটাই অবনতি হয়েছে যে তারা বাদুড় এবং কুকুরের মতো প্রাণীদেরও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এই কারণে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে তিনি দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেছেন। আখতার বলেন, জাঙ্ক ফুড, অস্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে। কোভিড-১৯ কে দূরে রাখার জন্য জনগণকে ফুসফুসের দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে, আমাদের ফুসফুসকে অবশ্যই ভালো অবস্থায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদেরকেই দোষ দিতে হবে কারণ গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জাঙ্ক ফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিজেদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিয়েছি। আমরা যদি বাড়ির খাবার খেতাম এবং অস্বাস্থ্যকর পানীয় এড়িয়ে চলতাম, তাহলে আজ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো জায়গায় থাকত। রোগ এগিয়ে আসেনি। বরং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অবনতি হয়েছে।
তথাকথিত হোয়াটসঅ্যাপ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরব হলেন শোয়েব আখতার
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে প্রত্যেকের কাছে একটা করে ভিডিও রয়েছে। আমি জানিনা ওরা কেন এই পরিস্থিতি থেকে ফায়দা লাভ করার চেষ্টা করে। করোনাভাইরাস নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল জোক পাঠানো আমাদের বন্ধ করতে হবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। এটা একটা গুরুতর রোগ। এছাড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আখতার বলেন, তাদের মধ্যে কারা কারা এই লকডাউনকে একটা আতঙ্ক হিসেবে বিবেচনা করছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আখতার বলেন, আজ কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমি বাইরে গিয়েছিলাম। আমি কারুর সঙ্গে করমর্দন বা কাউকে আলিঙ্গন পর্যন্ত করিনি। সর্বক্ষণ আমার গাড়ির জানলা বন্ধ ছিল। যত দ্রুত সম্ভব কাজ মিটিয়ে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছি। তবে আজ একটা উদবেগজনক বিষয় বাইরে আমার নজরে পড়ল। আমি দেখলাম ৪ জন একটা বাইকে করে পিকনিকে যাচ্ছে। লোকজন বাইরে একসঙ্গে খাবার খাচ্ছেন, অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছেন। রেস্তোরাঁগুলি এখনও খোলা কেন, সেগুলি কেন এখনও বন্ধ করা হয়নি।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য