রাত ৯টায় বাড়ির লাইট বন্ধ করে ৯ মিনিটের জন্য প্রদীপ, মোমবাতি অথবা মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত একতা দেখিয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যারা দিন-রাত এক করে খেটে চলেছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন এবং এই কঠিন সময়ে দেশের জনগণকে একজোট করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশের অধিকাংশ অংশেই মোদির ডাকে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং এবং লকডাউন অমান্য করে তারা ভিড় জমান। অনেককে আতশবাজি পোড়াতে দেখা যায়।
কয়েকদিন আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে আসেন। বাড়িতে থেকেই তাদের এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে হবে। বাড়ির বারান্দয় বা দরজায় তারা প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তবুও কিছু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কথা কানে তোলেননি। ২২ মার্চ জনতা কারফিউর সময় যা ঘটেছিল, ফের সেটাই ফের ঘটতে দেখা যায়। এরকম বহু ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর এই বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রবি অশ্বিন। তিনি অবাক হয়েছেন যে লকডাউনের সময়েও মানুষ আতশবাজি কিনতে বেরিয়েছেন। এর পাশাপাশি তার প্রশ্ন, এখন কে আতশবাজি বিক্রি করছেন। রবি অশ্বিনের ট্যুইট, তবে আমি একেবারেই বুঝতে পারছি না যে এনারা কোথা থেকে বাজি কিনলেন এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কখন কিনলেন!
করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই এই মারণ ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রবি অশ্বিন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এমনকি তিনি ট্যুইটারে তার প্রোফাইলের নাম বদলে রেখেছেন ‘lets stay indoors india’। নিজের ভক্তদের কাছে অশ্বিনের অনুরোধ, তারা যেন এখন বাড়িতেই থাকেন। লকডাউন মেনে চলেন। এভাবেই জীবন বাঁচাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
দেশের সঙ্গে একজোট হলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা
অতীতেও তারা বারবার এরকম নজির সৃষ্টি করেছেন। রবিবার তারই পুনরাবৃত্তি হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তার সমর্থনে এগিয়ে এলেন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটার। বিরাট কোহলি, শচীন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, অজিঙ্কে রাহানে, সুরেশ রায়না সহ অন্যান্যদের বাড়ির বারান্দায় প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায়। তাদের আশা, এই দুর্দিন দ্রুত কেটে যাবে। শচীন তেন্ডুলকরের ট্যুইট, আমাদের আশপাশ এবং হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা, প্রভাবিত এলাকা জীবাণুমুক্ত করা এবং ভাইরাসকে দূরে রাখার জন্য আমার পরিবার এবং আমি নিঃস্বার্থ সাফাইকর্মী যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া আসুন আমরা ফের শপথ গ্রহণ করি যে আমাদের গুরুজন, যাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সর্বাধিক – তাদের শারীরিক এবং মানসিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের যত্ন নেব।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য