তিনি নিঃসন্দেহে ভারতের সফলতম অধিনায়কদের মধ্যে একজন। ভারতকে এনে দিয়েছেন একটি টি-২০ বিশ্বকাপ, একটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তিনি হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তিনি প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। তারপর থেকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি মাহিকে। প্রথমে কয়েকটি সিরিজ থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। পরে এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল তাকে বাদ দিয়েই দল বেছে নেয়। তবে আসন্ন আইপিএলে ভালো খেললে জাতীয় দলে তার ফিরে আসার যে একটা সম্ভাবনা রয়েছে সেকথা জানিয়েছিলেন খোদ টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।
আইপিএল আগামী এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত হওয়ায় ধোনিকে হয়তো আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ মনে করেন, জাতীয় দলে ধোনির ফিরে আসা অত্যন্ত কঠিন কাজ হতে চলেছে। তিনি বলেন, নির্বাচকরা ইতিমধ্যে ধোনির বিকল্প বেছে নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার আমেদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে সেহওয়াগ বলেন, দলে তাকে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে? ঋষভ পন্থ এবং বিশেষত কেএল রাহুলের মতো খেলোয়াড়রা অবিশ্বাস্য ছন্দে রয়েছেন। আমার মনে হয়, এদের (পন্থ, রাহুল) বাদ দেওয়ার কোনো কারণ নেই।
এর পাশাপাশি ভারতীয় দলের সদ্যসমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সফরে হতাশাজনক পারফরমেন্স প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন ৪১ বছর বয়সী সেহওয়াগ। তিনি বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে ওডিআই এবং টেস্টে কিউইরা আমাদের থেকে ভালো দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিউইরা যে ম্যাচগুলিতে পরাজিত হয়েছে সেগুলিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শর্টেস্ট ফরম্যাটে দ্রুত কামব্যাক করা সব সময়ই একটা কঠিন কাজ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির শোচনীয় ফর্ম নিয়ে সেহওয়াগ বলেন, তিনি একজন উচ্চমানের ব্যাটসম্যান। তবে এটি (খারাপ ফর্ম) শচীন তেন্ডুলকর, স্টিভেন স্মিথ, জাক কালিস অথবা রিকি পন্টিংয়ের মতো সমস্ত মহান ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে। আগামী অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপে ফেভারিট কোন দল? এই প্রশ্নের জবাবে সেহওয়াগ বলেন, টি-২০ ফরম্যাটে কোনো ফেভারিট আগাম অনুমান করা যায় না। যেকোনো খেলোয়াড় একাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তবে অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রত্যাবর্তন ভারতীয় দলকে অবশ্যই মজবুত করবে। সাম্প্রতিক সময়ে রঞ্জি ট্রফিতে গুজরাটের দলগুলির উত্থানের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সেহওয়াগ। তার মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে চিরাচরিতভাবে যেসমস্ত দলগুলি ক্রিকেটের পাওয়ারহাউজ নামে পরিচিত সেগুলি এখন একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে সৌরাষ্ট্র, গুজরাট এবং বাংলার মতো দলগুলি তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলায়োড়দের গোটা মরসুমেই পেয়েছে। ফলে তারা ভালো খেলতে সক্ষম হয়েছে। সেহওয়াগ বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, ঋষভ পন্থ, ইশান্ত শর্মার মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের খেলায় ব্যস্ত থাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের দল দিল্লির জন্য মাঠে নামতে পারেননি। যখনই টপ খেলোয়াড়রা দিল্লির হয়ে ঘরোয়া মরসুমে খেলেছেন, তখনই দল অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য