করোনাভাইরাস মহামারির জেরে থমকে গিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত ক্রিকেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড। বহু সিরিজ বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পিসিবির সিইও ওয়াসিম খান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে।

যদিও পিসিবির এই অবস্থানের বিরোধীতা করেছে বিসিসিআই। কারণ বহু প্রতিক্ষিত আইপিএল ২০২০ ওই সময়েই আয়োজন করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এশিয়া কাপের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ওয়াসিম বলেন, এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইংল্যান্ড থেকে ফিরবে পাকিস্তান দল। সুতরাং আমরা সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতেই পারি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে। এশিয়া কাপের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। কারণ শ্রীলঙ্কায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে যদি তারা করতে না পারে, সেক্ষেত্রে ইউএই এই কাজের জন্য প্রস্তুত।

এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন কঠিন হবে: বিসিসিআই আধিকারিক

পিসিবির এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলের বক্তব্য, পাকিস্তানের উচিত পরবর্তী বছরের পিএসএল স্থগিত করে দেওয়া। ওই সময় বরং তারা এশিয়া কাপ আয়োজনের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে ঘটনা হল, চলতি বছরের শেষের দিকে পিএসএল ২০২০ এর বাকি ম্যাচগুলি আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পিসিবি। কোভিড-১৯ আক্রমণের পর পিএসএল ২০২০-এরা বাকি ম্যাচগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই আধিকারিক বলেন, এ বছর এশিয়া কাপের আয়োজন সহজ হবে না। পিসিবির চিফ এগজিকিউটিভের বিবৃতি দেখে বলতে হয়, যে সময়টা তাদের জন্য উপযুক্ত সেটা ভারতের জন্য উপুযক্ত নয়। ওরা পরবর্তী বছরের পিএসএল স্থগিত করতে পারে যদি ওই সময় একটি স্লটের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিসিআই। নাহলে এই কঠিন সময়ে এশিয়া কাপের আয়োজন মোটেও বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না।

বিসিসিআই ইতিমধ্যে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে ডোমেস্টিক এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উপরেই নজর দেবে বোর্ড। কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবোয়ে সফর ইতিমধ্যে স্থগিত ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইপিএল ২০২০-এর আয়োজন করা হবে বিসিসিআইয়ের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।