করোনা মহামারির মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফের কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছন্দে ফিরবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এরই মধ্যে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী মাস থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। বিগত তিন মাসের বিরতির পর এটাই হতে চলেছে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ। এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়াসিম খান সম্প্রতি জানিয়েছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। পিসিবি কর্তার এই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, পিসিবির উচিত পরবর্তী সংস্করণের পিএসএল স্থগিত করে দিয়ে সেই স্লটে এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যবস্থা করা। এর পাশাপাশি ওই বিসিসিআই কর্তা বলেন, এই বছরের এশিয়া কাপ আদৌ আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল মনে হচ্ছে না। যদিও পিসিবি কর্তা ওয়াসিম খানের বক্তব্য, এবারের এশিয়া কাপ হবেই। পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ দেশে ফিরবে। তারপর সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে আমরা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারি।

ওয়াসিম খানের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এক বিসিসিআই কর্তা বলেন, এ বছরের এশিয়া কাপের আয়োজন সহজ হবে না। পিসিবি চিফ এগজিকিউটিভের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে হয় ওরা যে সময়টা বেছে নিতে চাইছে সেটা ভারতের জন্য উপযুক্ত নয়। ওরা পরবর্তী বছরের পিএসএল স্থগিত করে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারে। নাহলে এশিয়া কাপের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিএসএল ২০২০-এর বাকি অংশ স্থগিত করা হয়েছে

এদিকে বিসিসিআই কর্তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পিসিবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এশিয়া কাপের আয়োজন করতে পরবর্তী সংস্করণের পিএসএল স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। সূত্রের মতে, বিসিসিআইয়ের প্রস্তাব বিবেচনাও করতে চায় না পিসিবি। কোনো নিরপেক্ষ ভেনুতে এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবারের পিএসএলের শেষ পর্যায়ের ম্যাচগুলি স্থগিত করা হয়। চলতি বছরের শেষের দিকে এই ম্যাচগুলি আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পিসিবি। অন্যদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল ২০২০-এর আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই। আপাতত আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের ভাগ্য নিয়ে আইসিসির চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই মেগা ইভেন্ট যদি পিছিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আইপিএল ২০২০-এর বিকল্প সূচি তৈরি করতে পারবে বিসিসিআই।