এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ঋদ্ধিমান সাহা বর্তমান সময়ের একজন অন্যতম সেরা উইকেটকিপার। বাংলার এই কিপার-ব্যাটসম্যানের কেরিয়ারে অনেক বাধা এসেছে। তবে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। সফল হয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির ছায়ায় তাকে দীর্ঘদিন থাকতে হয়েছে। তারপর ২০১৮ সালে ঋষভ পন্থ তার জায়গায় চলে আসেন।

এর পাশাপাশি চোট-আঘাতেও জর্জরিত হতে হয়েছে ঋদ্ধিমান সাহাকে। শেষ মুহূর্তে চোটের কারণে দল থেকে রোহিত শর্মা বাদ যাওয়ার পর কুখ্যাত নাগপুর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডেবিউ করেছিলেন সাহা। তবে ২০১৪-১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন এমএস ধোনি নিজের টেস্ট কেরিয়ারে ইতি টানার পর টেস্ট দলে স্থায়ী জায়গা তৈরি করতে সমর্থ হন সাহা।

নিখুঁত মুভমেন্টের কারণে সাহা বিশ্বের একজন অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হয়ে উঠেছেন। দেশের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট মরসুমে, বিশেষত লেগ সাইডে, সিমারদের ডেলিভারি তালুবন্দি করে সবার নজর কেড়েছেন সাহা। এই চ্যাম্পিয়ন উইকেটকিপারের মতে, ভারতীয় ফাস্ট বোলিং ইউনিটের নেতা জসপ্রীত বুমরাহর ডেলিভারি তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। সাহা জানিয়েছেন, বুমরাহর বলের অ্যাঙ্গলের কারণে ব্যাটসম্যান খেলতে না পারলে ডেলিভারি কোন দিকে যাবে তা একজন উইকেটকিপারের পক্ষে আগে থেকে অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। টাইমস নাওতে সাহা বলেন, যে অ্যাঙ্গল থেকে বুমরাহ বল করে তার জন্য ওর বলে কিপিং করা সবচেয়ে কঠিন। ব্যাটসম্যান যদি খেলেন তাহলে একটি অ্যাঙ্গল এবং যখন ব্যাটসম্যান খেলেন না, তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন অ্যাঙ্গল। তাই বুমরাহর বলে কিপিং করার সময় সর্বদা মনোযোগ দিতে হবে।

সীমত ওভারে ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন ঋদ্ধিমান সাহা

সাহা ভারতের হয়ে শেষবার ওডিআই খেলেছিলেন ২০১৪ সালে। সাদা বলের ক্রিকেটে আপাতত তার প্রত্যাবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে শর্টার ফরম্যাটে আবার ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। সাহা বলেন, আমার মনে হয় না একটি ফরম্যাটে খেলেই কেউ সন্তুষ্ট হয়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সমস্ত ফরম্যাটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা সব সময়ই একটি আনন্দদায়ক বিষয়। তবে এই মুহূর্তে আমি যেসব সুযোগ পাচ্ছি সেগুলোতে মনযোগ দিতে চাই। আমি যদি অন্য ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাই, তাহলে নিশ্চিতভাবে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব।