ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের নাম জিজ্ঞাসা করা হলে সাধারণত কপিল দেব, এমএস ধোনি অথবা সৌরভ গাঙ্গুলির কথা বলা হয়। অধিনায়ক হিসেবে সাধারণত কাউকে রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশংসা করতে দেখা যায় না। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তানে টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজে জয়ী হয় ভারত।
দ্রাবিড় যখন অধিনায়ক ছিলেন তখন টানা ১৭টি ওডিআই ম্যাচে রান তাড়া করে জয়ী হয়েছিল ভারত। টিম ইন্ডিয়াকে ৭৯টি ওডিআইতে নেতৃত্ব দিয়েছেন দ্রাবিড় যার মধ্যে ৪২টি ম্যাচে দল জয়ী হয়েছে। এছাড়া ২৫টি টেস্ট ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দ্রাবিড়, যার মধ্যে আটটি ম্যাচে ভারত জয়ী হয়েছে। সম্প্রতি এক আলাপচারিতার সময় অধিনায়ক হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন ইরফান পাঠান। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর লাইভ ভিডিও চ্যাট শো ‘বিয়ন্ড দ্য ফিল্ড’-এ উপস্থাপক রৌনক কাপুরের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, “দ্রাবিড় ১০০ শতাংশ মহান অধিনায়ক। দল থেকে তিনি কি চাইতেন, সে ব্যাপারে তার স্পষ্ট ধারণা ছিল।” এছাড়া পাঠান বলেন, দ্রাবিড় হলেন এমন একজন ক্রিকেটার যিনি তার প্রাপ্য মর্যাদা পাননি। অর্থাৎ তার যে প্রতিভা, দক্ষতা ছিল, সেই তুলনায় তার প্রচার হয়নি। সৌরভ গাঙ্গুলিকে বরখাস্ত করার পর টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় কর্ণাটকের ব্যাটসম্যানকে। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রাহুল দ্রাবিড় হলেন এমন একজন অধিনায়ক যিনি পৃথকভাবে চিন্তা করতেন: ইরফান পাঠান
পাঠান বলেন, রাহুল দ্রাবিড় হলেন এমন একজন অধিনায়ক যিনি পৃথকভাবে চিন্তা করতেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলতেন, ‘এটা আপনার ভূমিকা এবং আপনাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’ ভারতে প্রাক্তন অলরাউন্ডার দ্রাবিড়ের বহুমুখী দিক নিয়েও মন্তব্য করেছেন। ওডিআই ক্রিকেটে তার সাফল্যের উপর আলোকপাত করেছেন পাঠান। এটা ঘটনা যে দীর্ঘদিন ধরে ওডিআই এবং টেস্টে ধারাবাহিকতার সঙ্গে খেললেও অনেক ক্ষেত্রে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক দ্রাবিড় তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয় না।
পাঠান বলেন, তিনি (দ্রাবিড়) চাইতেন যে আপনাকে সব কিছুই করতে হবে। তিনিও এভাবে ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি উইকেটকিপারের গ্লাভস পরেছেন, ওপেন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, ৩ নম্বর স্থানে ব্যাটও করেছেন। লোকজন হয়তো বলবেন যে তিনি খুব ভালো ওডিআই ক্রিকেটার নন। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তার ১০,০০০+ রান আছে। তিনি একজন অসাধারণ টিম প্লেয়ার ছিলেন। দলের কথা মাথায় রেখেই তিনি নেতৃত্বের স্টাইল ঠিক করেছিলেন।
দ্রাবিড়ের ব্যক্তিত্ব কিভাবে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সাহায্য করেছে সেকথাও বলেছেন পাঠান। খেলোয়াড়দের সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি সর্বদা উপলব্ধ ছিলেন। পাঠান বলেন, কোনো সমস্যা হলেও তিনি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতেন। অনেক সময় অধিনায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায় কারণ তারা অনেক কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তবে দ্রাবিড়ের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। কোনো সমস্যা থাকলে রাত ২টোর সময়ও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল। একজন অধিনায়কের ভূমিকা হল তার সমস্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা। রাহুল দ্রাবিড় সেটা সফলভাবে করেছিলেন।
২০০৭ সালে এমএস ধোনির নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রথমবারের টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নেতৃত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ান দ্রাবিড়।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য